হৃদয়ের সংকট

“হৃদয়ের সংকট” is a Bengali poetic series by Tanzil Amin Shuvo, which explores the complexities of human emotions through the interplay of nature, society, and the psyche. The series consists of four poems, each highlighting a deep connection between human sentiments and the world around them. 

 

The first poem explores the emotions of unrequited love, where the persona grapples with unanswered questions within a broken heart. The second poem depicts the persona reaching out to a lost love, facing the destructive storm of emptiness without her. The third poem features two crows on an electric wire, symbolizing the unfulfilled love and the contemplation of leaving society to escape the pain of unattained love. The final poem captures a wife’s ceaseless prayer for her ailing husband, revealing the essence of genuine love. 

 

The collection uses nature and societal drama to express the complexities of the individual, revealing a lot about the human experience and the poetic character.

হৃদয়ের সংকট

 

চাল-ডাল-পেঁয়াজের সাথে মানুষের গর্দানটাও এখন সিন্ডিকেটের দখলে, মজুদের পর মজুদ চলছে,

এই দেশে মানুষ মরার মিছিলেও নাকি কাফনের কাপড় খুবলে খাবে সিন্ডিকেটের শকুন,

আচ্ছা, তোমার হৃদয় পাহারা দেয় সিন্ডিকেটের কোন মহাজন?

যেখানে প্রয়োজন সেখানে জোগান নেই—

কৃত্রিম এই সংকটের আসামি কে? 

তুমি; মহাজন নাকি যে ছায়া তোমার হৃদয়ের বন্ধ দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে সে?

কে?!

 

কৃষ্ণগহ্বর

 

আমার বুকের কোটরে শতশত কৃষ্ণগহ্বরের বাস, 

গিলে খাচ্ছে আমার তাজা হাড় মাংস সহস্র বছর ধরে,

আর এই বোকা পৃথিবী নাকি তছনছ হয়ে যেতে পারে ছোট্ট একটা ব্ল্যাকহোলের চোরা টানে,

বড্ড হাসি পায় পৃথিবীর কথা শুনে!

আমার বুকের একটা কৃষ্ণগহ্বর ছাড়া পেলে এই মিক্লিওয়ের মত শত শত গ্যালাক্সি গিলে খেয়ে নেবে এক নিমিষে।

এই মহাপ্রলয় থামাতে পারে একমাত্র তোমার মায়াভরা হাত, প্রিয়তম!

এসো, আমার বুকের ধ্বংসস্তূপের কাছে,

খোলা চুলে এলিয়ে দাও তোমার মাথা-

কৃষ্ণগহ্বরগুলোকে ধ্বংস করো নিজ হাতে, 

ডাইনোসরের চেয়েও প্রাচীন দুঃখ পোষা বুকে

তুমি কি আসবে একটা সূর্যমুখী হাতে?

 

কাকের অসুখ

দু’টো কাক বসে আছে পাশাপাশি,

চাওয়াচাওয়ি নেই— কোনো ডাকাডাকি নেই,

শহুরে সেপ্টিক রোগে আক্রান্ত হলো এরাও বুঝি।

লক্ষণ কেমন?

জ্বর আছে? না নেই

সর্দি? সেটাও তো নেই।

সর্বনাশ, তাহলে!?

লক্ষণ খারাপ, ঝগড়া।

শুধু ঝগড়া নাকি অভিমান?

দুটোই, খুনোখুনিটা শুধু বাকি।

সে কী! মারাত্মক সমস্যা— সুযোগ পেলেই চোখ উপড়ে ফেলবে, ঠুকরে খাবে কান!

তাহলে উপায়?

 

শহর ছেড়ে বনবাসে কাটাতে হবে একশ’ বছর, তবেই যদি পালক থেকে মানুষের গন্ধ মুছে।

দীর্ঘ রাত

মধ্যরাতের ট্রেন স্টেশন পেরিয়ে দিগন্তে মিশে গেছে এক বসন্ত আগে,

হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের লাল আলো তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে অন্ধকারের সাথে,

ঘুমকাতর চোখে বাকির খাতায় মোটা অক্ষরে লেখা দু’ রাজ্যের ঘুম—

তবুও পাওনাদার বকেয়ার দাবি নিয়ে এ পথে আসার দুঃসাহস করেনি, মাড়ায়নি ভঙ্গুর চৌকাঠ।

রণপ্রান্তরে মধ্যরাত ইতিহাস হয়ে গেলো,

 

খোদার দয়ার আকুতি নিয়ে আত্মহুতি দিলো আরও একটা রাত।